বৃহস্পতিবার , এপ্রিল ২৪ ২০২৫

রেকর্ড দর্শক হাসিয়ে মিয়ামির জয়-উৎসব

মেজর লিগ সকালে (এমএলএস) লিওনেল মেসির খেলা মানেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। মাঠে বসে আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরের খেলা দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না তারা। বিপত্তিটা বাধে এখানেই। ইন্টার মিয়ামির ম্যাচ ছিল কলম্বাস ক্রুর ঘরের মাঠে। যে মাঠের ধারণ ক্ষমতা ২০ হাজারের একটু বেশি। কিন্তু লিওনেল মেসিকে দেখতে উৎসুক দর্শকের সংখ্যা তো অনেক বেশি!

উপায় না দেখে ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়া হলো কলম্বাস শহরের ১৪৫ কিলোমিটার উত্তরে হান্টিংটন ব্যাংক ফিল্ড-এ। ন্যাশনাল ফুটবল লিগের দল ক্লিভল্যান্ড ব্রাউন্সের এই স্টেডিয়ামও কলম্বাস ক্রুর স্বত্বাধিকারী জিমি ও ডি হ্যাসল্যামের মালিকানাধীন। প্রায় সাড়ে ৬৭ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়াম অবশ্য পুরোপুরি ভরে উঠল না। তবে দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড ঠিক হলো। তাদের জয় তুলে নিয়ে তাদের বিনোদনও দিল মেসিরা।

মেজর লিগ সকারে লড়াইটি ছিল মৌসুমের অপরাজিত দুই দলের। সেটিতে কলম্বাস ক্রুকে ১-০ গোলে হারিয়ে লিগের একমাত্র অপরাজিত দল এখন ইন্টার মায়ামি। এ ম্যাচে অবশ্য কোনো গোলের দেখা পাননি লিওনেল মেসি। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন বেনজামিন ক্রেমাস্কি।

এ নিয়ে ৮ ম্যাচে ৫ জয় আর ৩ ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্টার মিয়ামি। মিয়ামির চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৯ পয়েন্ট শার্লট এফসি ও সিনসিনাটি এফসির।

মাঠে এ দিন দর্শক ছিল ৬০ হাজার ৬১৪ জন। কলম্বাস ক্রুর ইতিহাসে ঘরের মাঠে যা রেকর্ড। গ্যালারিতে তাকিয়ে অবশ্য বোঝার উপায় ছিল না, কোন দলের ঘরের মাঠ এটি। মায়ামির গোলাপি জার্সি গায়ে দর্শক ছিল ঘরের দলের হলুদ জার্সির দর্শকের প্রায় সমানে সমান। যাকে দেখার জন্য এত উন্মাদনা, সেই মেসি অবশ্য ততটা জ্বলে উঠতে পারেননি।

২৯তম মিনিটে দুর্দান্ত দলীয় আক্রমণ থেকে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল কলম্বাস। শেষ মুহূর্তে আঙুলের ছোঁয়ায় মায়ামিকে রক্ষা করেন অস্কার উস্তারি। এরপরই ক্রেমাস্কির দুর্দান্ত হেডে এগিয়ে যায় মায়ামি। ২০ বছর বয়সি মিডফিল্ডারের এটি মৌসুমে প্রথম গোল।

৪২তম মিনিটে বক্সের ভেতর বল নিয়ে কারিকুরি করে ডিফেন্ডারকে বিভ্রান্ত করে শট নিয়েছিলেন মেসি, তবে একজনের পায়ে লেগে তা চলে যায় বাইরে। গোলের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিলেন তিনি প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে তার বাঁকানো শট একটুর জন্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে কলম্বাস ক্রু বেশ কয়েকটি বিপজ্জনক আক্রমণ করেও সফল হয়নি। তিন দফায় মায়ামিকে রক্ষা করেন গোলকিপার উস্তারি। ক্রুর আক্রমণভাগের ব্যর্থতাও ছিল কিছু। একদম শেষ সময়ে খুব কাছ থেকেও ফাঁকা পোস্টে বল পাঠাতে পারেনি দানিয়েল গজদগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *