ব্রাজিলে যাওয়ার সিন্ধান্তটা বোধ হয় এবার নিয়েই ফেললেন আনচেলত্তি। ইউরোপিয়ান বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবী করা হচ্ছিল, কোপা দেল রের ফাইনাল ম্যাচের ফলাফলের উপরই রিয়াল মাদ্রিদে আনচেলত্তির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছিল। মৌসূম জুড়েই ব্যর্থ এই ইতালিয়ান কোচ এদিনও ফলাফল নিজের পক্ষে আনতে পারেনি। তাতেই যেনো নতুন করে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনার উদ্রেক তৈরি হয়েছে আনচেলত্তির মাঝে। ম্যাচের পরে এবার অনেকটা বিদায়ের সূরই শোনালেন তিনি।
অনেকদিন ধরেই আনচেলত্তিকে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে সিবিএফ। দরিভাল জুনিয়রকে বহিষ্কারের পরে সেই গুঞ্জন আবারো জোড়ালো হয়েছে। সেই গুঞ্জনের মাঝেই নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন আনচেলত্তি। বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আনচেলত্তি বলেন, ‘আমি থাকতে পারি, আবার সরে যেতে পারি। এটা আজ নয়, আগামী কয়েক সপ্তাহের বিষয়।’
মৌসুম জুড়ে ব্যর্থতায় রিয়াল মাদ্রিদে আনচেলত্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। গুঞ্জন আছে রিয়ালের ভবিষ্যৎ কোচ হিসেবে জাবি আলোনসোকে দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে, ব্রাজিলের গণমাধ্যমের দাবি, দরিভাল জুনিয়রের উত্তরসূরি হিসেবে আনচেলত্তিকেই প্রধান পছন্দ মনে করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই নতুন কোচ নির্ধারণ করা নিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। সেখানে বেশিরভাগ ফুটবলারদেরই প্রথম পছন্দ আনচেলত্তি। দেশটির সাবেক তারকারাও বলেছেন, যদি বিদেশি কোচই নিয়োগ দিতে চায় সিবিএফ, তাহলে যেনো আনচেলত্তিকেই নিয়োগ দেওয়া হয়।
এদিকে, এল ক্লাসিকো ঘিরে ম্যাচের আগেরদিন আলোচনার শীর্ষে ছিল রেফারি বিতর্ক। ম্যাচের আগে এক প্রেস কনফারেন্সে রেফারি রিকার্দো দে বুরগোস বেঙ্গোচেয়া কেঁদেই ফেলেন। তিনি বলেন, তার ছেলে যখন স্কুলে যায়, তখন তাকে বলা হয় ‘তোমার বাবা চোর’, আর সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরে।
এই ইস্যুতে ম্যাচের পর আনচেলত্তির মন্তব্য চাইলে, তিনি মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করে বলেন, ‘না, রেফারি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।’