রবিবার , এপ্রিল ২৭ ২০২৫
দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় ভিনিসিউস জুনিয়র

দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় ভিনিসিউস জুনিয়র

এবার ফুটবল থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় ভিনিসিউস জুনিয়র। মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদের এই ব্রাজিলিয়ান তারকাকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী স্বার্থের সংঘাত (Conflict of Interest) তৈরি করায় এমন শাস্তির মুখে পড়তে পারেন ভিনিসিউস। ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফিফা।

বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারদের একজন ভিনিসিউস জুনিয়র। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করে যাচ্ছেন তিনি। সর্বশেষ ব্যালন ডি’অরের আলোচনায় থাকলেও শেষ মুহুর্তে সেটা চলে যায় রদ্রি হার্নান্দেসের কাছে। ভিনিসিউস হয় প্রতিযোগিতাটির দ্বিতীয় স্থানে। এখন পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে ৩১১ ম্যাচে মাঠে নেমে ১০৫টি গোল ও ৭৯টি অ্যাসিস্ট করেছেন ভিনি।

তবে মাঠের পারফরম্যান্সে যেমন ভিনি অনেক বেশি আলোচিত, তেমনি মাঠের বাইরের ঘটনায় সমালোচনাও কুড়িয়েছেন অনেক। বেশ কয়েকবার হয়েছেন গণমাধ্যমের শিরোনাম। এবার নতুন করে ফিফার তদন্তের মুখোমুখি হলেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড।

মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিনিসিউস জুনিয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একাধিক পেশাদার ফুটবল ক্লাবের নিবন্ধিত মালিক। যা ফিফার আন্তর্জাতিক ফুটবল নীতিমালার পরিপন্থী।

ঘটনার সুত্রপাত অবশ্য ভিনিসিউসের বাবা পরিচালিত সংস্থা অল এজেন্সি এসপোর্টিভোর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থেকে। ওই সংস্থার অধীনেই রয়েছে দুটি ফুটবল ক্লাব। যার একটি ব্রাজিলের অ্যাথলেটিক ক্লাব ডি সাও জোয়াও দেল রেই। এবং আরেকটি পর্তুগালের ক্লাব আলভারকা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ৭ এপ্রিল টাইবেরিস হোল্ডিং ডো ব্রাজিল নামের একটি ব্রাজিলিয়ান প্রতিষ্ঠান ফিফার এথিকস কমিটিতে ভিনিসিউসের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, পেশাদার ফুটবলারদের পক্ষে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনো ক্লাবের মালিক হওয়া ফিফার নীতিমালা অনুযায়ী নিষিদ্ধ।

কোম্পানিটির অভিযোগে ফিফার আর্টিকেল ২০ এবং স্পেনের আর্টিকেল ২২- এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে ফুটবল নৈতিকতার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে।

ফিফার আইন বলছে, তদন্তে যদি ভিনিসিউসকে দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাহলে ভিনিসিউসকে ক্লাবগুলোর মালিকানা ছেড়ে দিতে হতে পারে। অথবা সর্বোচ্চ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেতে পারেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

অবশ্য পেশাদার ফুটবলার থাকাকালীন সময়েই ক্লাবের মালিক হওয়ার বিষয়টি এটাই প্রথম নয়। এর আগেও খেলা চলাকালীন সময়েই ক্লাবের মালিক হয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, কিলিয়ান এমবাপ্পে, লুকা মদ্রিচরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *