গত জানুয়ারীতে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল থেকে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে নাম লেখান নেইমার জুনিয়র। দলটির সাথে ৬ মাসের চুক্তি করেন নেইমার। সেসময় শোনা যায়, এরপর আবারো ইউরোপের কোনো ক্লাবে পাড়ি জমাবেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু ইনজুরি সবকিছু এলোমেলো করে দিচ্ছে। সান্তোসে আসার পরে ইতোমধ্যেই দুইবার ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন নেইমার। তাই গুঞ্জন উঠেছে নেইমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে। সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিয়েছেন সান্তোস এফসির প্রেসিডেন্ট টেইক্সেইরা।
সান্তোসে নেইমার ভবিষ্যৎ নিয়ে গ্লোবো টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন, সান্তোসের প্রেসিডেন্ট টেইক্সেইরা। অন্তত ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি নেইমার সান্তোসে থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
টেইক্সেইরা বলেন, ‘আমাদের আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায়, যদি সে (নেইমার) চায় এবং সান্তোসও চায়, তাহলে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করার একটি খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। এটি মূল প্রকল্প, ছয় মাসের জন্য এবং বর্তমান পরিস্থিতি ও যা কিছু ঘটছে (নেইমারের ইনজুরি) তা বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা খুবই ভালো।
নেইমারের ইনজুরি নিয়ে সান্তোস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘(নেইমারের চোট) কোনও লাভ নেই। তবে আমাদের যে প্রকল্পটি আছে, তা তার খেলার উপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের প্রকল্পের ধারাবাহিকতা, লাভ-ক্ষতি এবং নেইমার থাকলে কী উপকার হবে, তা বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করতে হবে। আমরা সবসময় নেইমারকে সঙ্গে রাখতে চাই। সে এখন ফিটনেস বাড়ানোর কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, খুব দ্রুতই সে আবারো মাঠে ফিরবে।’
সর্বশেষ আতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষে শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন নেইমার। সেই ম্যাচে মাত্র ৩৪ মিনিট পরেই হ্যামিস্ট্রিংয়ের ইনজুরি নিয়ে কান্না করতে করতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। এসময় দর্শক থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা এসে সান্তনা দেন তাকে।
এর আগে প্রায় দুই বছর এসিএল ইনজুরিতে মাঠের বাইরে ছিলেন নেইমার জুনিয়র। লম্বা সময় পরে আল হিলালের জার্সি ফিরলেও দুই ম্যাচ পরেই আবারো মাঠ ছেড়েছিলেন ইনজুরি নিয়ে। এরপর আর নেইমারকে দলে রাখতে আগ্রহ দেখায়নি সৌদি আরবের ক্লাবটি। নেইমারও আর থাকতে চাননি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে।
চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আল হিলালের সাথে নেইমারের চুক্তি মেয়াদ ছিল নেইমারের। কিন্তু দুই পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে জানুয়ারিতে ফ্রি ট্রান্সফারে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে নাম লেখান নেইমার। প্রথম দফায় ৬ মাসের জন্য চুক্তি করেন নেইমার।