গত মৌসুমে বায়ার্নের ১১ বছরের ধারাবাহিকতায় ছেদ টেনে শিরোপা জিতেছিল বায়ার লেভারকুসেন। সেটা একটু যেন বেশিই আত্মসম্মানে লেগেছিল বায়ার্নের। তাই পরের মৌসুমেই ঘুরে দাঁড়াল তারা। শিরোপা জয়ের পথে ছাড়িয়ে গেল সবাইকে। জার্মান বুন্দেসলিগার ৩৪তম শিরোপা জয় থেকে মাত্র হাতছোঁয়া দূরত্বে রয়েছে জার্মানির ক্লাবটি ।
শনিবার রাতে তলানির দিকের দল এফসি হেইডেনহেইমকে নিয়ে ছেলেখেলা করে সেই পথ সুগম করেছে হ্যারি কেইনরা। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৪-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা।
এই জয়ের ফলে ৩০ ম্যাচে নিজেদের নামের পাশে ৭২ পয়েন্ট যুক্ত করল বায়ার্ন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার লেভারকুসেনের পয়েন্ট ৬৩। চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ৯ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করল বায়ার্ন মিউনিখ। যদিও লেভারকুসেন খেলেছে ২৯ ম্যাচ।
রোববার রাতে তারা মুখোমুখি হয়েছে সেন্ট পাওলির। এ ম্যাচ জিতলেও বায়ার্নকে ছোঁয়ার সাধ্য নেই তাদের। তবে যদি লেভারকুসেন হেরে যায়, তাহলে পরের ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন। আর যদি লেভারকুসেন জিতে যায়, তাহলে বায়ার্নের শিরোপা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন আরও দুটি জয়। লিগে বাকি আছে আর মাত্র চার রাউন্ড ম্যাচ।
হেইডেনহেইমের মাঠে গিয়ে ৩৬ মিনিটের মধ্যেই ০-৩ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। যার মধ্যে একটি গোল ছিল হ্যারি কেইনের। ইংলিশ এই তারকা আরও গোল পেতে পারতেন। তবে ৫৬তম মিনিটে শেষ গোল করার পর স্বাগতিকদের জালে আর বল জড়াতে পারেনি ভাবারিয়ানরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে বায়ার্ন। সফলতা পেতে সময় লাগেনি। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই গোলের সূচনা করেন হ্যারি কেইন। ১৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কনরাড ল্যাইমার। ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে কিংসলে কোম্যান তৃতীয় গোল করেন। ৫৬তম মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন জসুয়া কিমিচ।
ম্যাচ শেষে বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি বলেন, ‘আমি জানি এখন সবাই বলবে যে, বায়ার্নের জন্য এখানে এভাবে জেতা তো স্বাভাবিক। কিন্তু আমি জানি, যদি আপনি হেইডেনহেইমের শেষ ম্যাচগুলো দেখে থাকেন, যেমন বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে ম্যাচটা। তাহলে দেখবেন প্রতিপক্ষের জন্য সেটা কতটা কঠিন ছিল। আমি জানতাম যে জয়টা সহজ হবে না।’