জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসেও অল্প রানেই গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশ। গত দুদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে মেহেদী হাসান মিরাজ আর মুমিনুল তিনশো রানের কথা বললেও তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি বাংলাদেশ। জাকের আলী অনিকের লড়াইয়ে কোনোমতে আড়াইশো রান পার করতে পেরেছে। এতে রোডেশিয়ানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৭৩ রান।
আগের দিন অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী অনিক আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু এদিন শুরুতেই ফিরে যান শান্ত। দিনের দ্বিতীয় বলেই পুল শটে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলায়, ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে ক্যাচ উঠে যায় লং লেগে। অনেকটা দৌড়ে এসে ক্যাচ নেন নিয়াগুচি। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না করেই ফিরেন শান্ত।
বাংলাদেশের বিপদের ঘনঘটা শুরু তখন থেকেই। এরপর যেনো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। ব্লেসিং মুজারাবানি আর এনগারাবার পেস আগুনে পুড়েছে মেহেদী মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা। এই দুজনের আউটের মাঝের ব্যবধান মোটে ৮ বল।
এ নিয়ে টানা দুই ইনিংসেই ব্যাটহাতে ব্যর্থ মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ বল খেলে ১১ রানে মুজারাবানির শর্ট লেন্থের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। চতুর্থ দিনে স্কোরবোর্ডে ১৮ রান যোগ করতেই দুই উইকেট মুজারাবানির দখলে। মুজারাবানির দেখাদেখি উইকেট পেয়েছেন এনগারাভাও। এই পেসারের বলে তাইজুল ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটকিপার মায়াভোকে।
এরপর একপ্রান্ত আগলে রাখা জাকের আলীকে বেশিছুটা সময় সঙ্গে দিয়েছে হাসান মাহমুদ। ৫৮ বল ক্রিজে ছিলেন তিনি। স্কোরবোর্ডে যোগ করেছিলেন ১২টি রান। মুজারাবানির ক্যাচ বানিয়ে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা তাকে ফেরানোর পরই দাঁড়াতে দেননি খালেদ আহমেদকেও।
আর হাফসেঞ্চুরি পার করা জাকের আলী অনিককে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসে সিল মেরে দেন মুজারাবানি। একপ্রান্ত আগলে রাখা জাকের খেলেছেন ৫৮ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ২৫৫ রানে।